

সন্তান বুদ্ধিমান হোক, তা সব মা-বাবাই চান। জানেন কি, শিশুর জন্মের পর থেকেই তার নানা স্বভাব ও অভ্যাসই বলে দিতে পারে সে বুদ্ধিমান হবে কি না। সন্তানের নানা কাজকর্মের দিকে একটু খেয়াল করলেই বুঝবেন তার মধ্যে বুদ্ধিমান হয়ে ওঠার কোনও বৈশিষ্ট্য আছে কি না।
তাদের মৌলিকত্ব থাকে
মেধাবী শিশুরা নিজের মতো করে সবকিছু করতে পছন্দ করে যেমন নিজের খেলনা নিজে পছন্দ করে কিনতে চায় ,নিজের জামা কাপড় নিজে পছন্দ করে কিনতে চায় ।এটা শিশুদের স্বতন্ত্রতা ,তাই শিশুর এই স্বভাব কে ইতিবাচকভাবে নিন।
সবার সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার ক্ষমতা
অচেনা কারও সঙ্গে শিশু কি সহজেই মানিয়ে নিতে পারে? যদি তেমন হয়, তা হলে যোগাযোগ ও সম্পর্ক তৈরির ক্ষেত্রে আপনার সন্তান অনেকটা এগিয়ে। বাড়িতে পোষা প্রাণী থাকলে তার প্রতিও শিশুর ব্যবহার লক্ষ্য রাখুন। এতে শিশুর সাহস ও মানসিক বিকাশের পরিমাপ বোঝা যায়।
জেদি স্বভাবের হওয়া
খুব জেদি হওয়া যেমন সমস্যার, তেমন শিশুর একটু-আধটু জেদ থাকাকে ইতিবাচক হিসাবেই দেখছেন গবেষকগণ। তাঁদের মতে, কোনও বিষয়ে একেবারেই একগুঁয়ে না হলে শিশুর নিজস্ব বিচার ক্ষমতা ও দৃঢ়তা তৈরি হয় না। বুদ্ধি তৈরিতে এই দুই-ই প্রয়োজন। তাই শিশু কিছুটা একগুঁয়ে হলেও এ নিয়ে বিরক্ত হবেন না।
অঙ্গ সঞ্চালন দক্ষতা
শিশুদের বসতে শেখা, হামাগুড়ি দেওয়া, দাঁড়াতে শেখা— প্রত্যেকটিরই একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা আছে। তবে আপনার সন্তান যদি সময়ের আগেই বসতে শিখে ,হামাগুড়ি দিতে শিখে ,দাঁড়াতে পারে কিংবা দৌড়াতে পারে তাহলে বুঝবেন আপনার শিশু অবশ্যই মেধাবী।
কিছু পেলে তা খুলে তার কল-কব্জা বার করে ফেলার প্রবণতা আছে শিশুর? জিনিসের যত্ন জানে না ভেবে এতে বিরক্ত হবেন না, সাধারণত, এরা কৌতূহলী হয়।। আপাত দৃষ্টিতে তা অযত্ন বলে মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে তাহলো শিশুর জানার আগ্রহ অর্থাৎ আপনার শিশু কৌতুহলী ।আর কৌতুহলী শিশুরা অনেক মেধাবী হয়।
তবে মেধাবী শিশুদের বিশেষ যত্নের প্রয়োজন আছে তাই আপনার শিশুকে যত্নে রাখুন, আর তাকে তার মত করে বড় হতে দিন ।
Leave a Review