

স্বাস্থ্য সচেতন বুদ্ধিমান মানুষেরা সব সময় খাবার খাওয়ার আগে চিন্তা করেন কোন খাবারে কি পুষ্টি পাবে, কোন খাবার কতটা স্বাস্থ্যকর ।আর পিনাট বাটার সেইসব স্বাস্থ্য সচেতন মানুষদের জন্য একটি সুস্বাদু খাবার। পিনাট বাটার যে শুধুমাত্র সুস্বাদু তাই নয়, এর অনেক উপকারি গুণাগুণও রয়েছে। এতে রয়েছে প্রোটিন, ফাইবার, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন ই।
এছাড়াও পটাশিয়াম সমৃদ্ধ পিনাট বাটারে অল্প পরিমাণ জিঙ্ক এবং ভিটামিন ই রয়েছে।
ডায়বেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা নিঃসংকোচে খেতে পারেন পিনাট বাটার । এমন কি এটি আপনাদের খাবার টেবিলে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন।
এটা শিশুদের যেমন পছন্দ, তেমনি বড়রাও স্বাচ্ছন্দে এটি গ্রহণ করেন। তাই চলুন পিনাট বাটার গ্রহণের কিছু উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিই।
স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি ফ্যাট
অনেকেই দুঃশ্চিন্তায় ভোগেন যে পিনাট বাটার খেলে দেহের চর্বি বেড়ে যাবে।
কিন্তু পিনাট বাটারে অসম্পৃক্ত চর্বির পরিমাণ বেশি। তাই এটি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি ফ্যাট হিসাবে বিবেচিত।
হার্টের জন্য উপকারি
পিনাট বাটার হার্টের জন্য উপকারি। কিন্তু পিনাট বাটার গ্রহণের ক্ষেত্রে দুটো বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে।
-
- প্রথমত এটি পরিমিত পরিমাণে খেতে হবে এবং ভেজাল পিনাট বাটার থেকে দূরে থাকতে হবে।
- বাণিজ্যিক পিনাট বাটার খাওয়ার চেয়ে ঘরে তৈরি বা হোমমেইড পিনাট বাটার স্বাস্থ্যের জন্য বেশি নিরাপদ।
দেহে প্রচুর শক্তি যোগায়
পিনাট বাটারে আছে প্রচুর প্রোটিন এবং উপকারি ফ্যাট। তাই এতে রয়েছে প্রচুর ক্যালরি যা একজন মানুষকে তার দৈনন্দিন কাজের জন্য যথেষ্ট শক্তি প্রদান করে। তাই সকালের খাবারে পিনাট বাটারের উপস্থিতি সারাদিনের কাজের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি যোগাবে।
প্রোটিনের ভালো উৎস
একজন মানুষের দিনে দুই টেবিল চামচ পিনাট বাটার গ্রহণ করা উচিত। এই দুই টেবিল চামচ পিনাট বাটারে আছে ৭ গ্রাম প্রোটিন যা শরীরের জন্য উপকারী।
ফাইবারের উৎস
২ টেবিল চামচ পিনাট বাটার আপনাকে শুধু প্রোটিনই দিবে না, বরং এতে রয়েছে ২ গ্রাম ফাইবার। পর্যাপ্ত ফাইবার দেহের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়।তাই প্রতিদিনের নাস্তায় পিনাট বাটার রাখুন।
ওজন কমাতে সাহায্য করে
পিনাট বাটারের থাকা অসম্পৃক্ত ফ্যাটি এসিড প্রোটিন ও ফাইবার আপনার ঘন ঘন ক্ষুধা লাগা দূর করার মাধ্যমে খাবার গ্রহণের পরিমাণ কমাতে সহায়ক আর খাদ্য গ্রহণ করলে সাময়িকভাবে এই স্বাভাবিক ভাবেই আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
হাড় এবং মাসেলের সুরক্ষা দেয়
পিনাট বাটারে উপস্থিত ম্যাগনেসিয়াম হাড়কে শক্ত করতে এবং মাসেলের সমস্যায় উপকারি ফল বয়ে আনে।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কাজ করে
পিনাট বাটারে আছে প্রচুর পটাশিয়াম যা সোডিয়ামের খারাপ প্রভাব থেকে দেহকে রক্ষা করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে
এছাড়া পিনাট বাটারে অল্প পরিমাণ জিঙ্ক এবং ভিটামিন বি৬ আছে যা দেশের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
তাছাড়া যারা জিমনাস্টিক এথলেট এবং ওবেসিটি ভুগছেন তাদের জন্য পিনাট বাটার একটি আদর্শ খাবার।
Leave a Review